রবিবার, ১০ মে, ২০১৫

পর্ব ৪ - টোফেল

ভার্সিটিগুলো আলাদা করে টোফেল চায়, এরকম না। ওরা চায় একটি ইংলিশ প্রোফিসিয়েন্সি স্কোর। সেটা টোফেল, আইইএলটিএস বা আরো দুয়েক রকমের হতে পারে। তাই এদুটোর একটা হলেই হয়।

এর ফরম্যাট সম্পর্কেও বিস্তারিত ও গভীর জ্ঞান থাকা লাগে। জিআরই প্রস্তুতি ভালো নেয়া থাকলে এর রিডিং আর রাইটিং সেকশন মোটামুটি আয়ত্তে থাকে। তবে লিসনিং আর স্পীকিং এর পাশাপাশি এদুটোর প্রস্তুতিও নিতে হবে। টানা প্রস্তুতি নিতে পারলে দুই মাসের মধ্যেই ১০০+ পাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব। ফেসবুকের হায়ার স্টাডি গ্রুপের টোফেল-আইইএলটিএস সাবডিভিশনে প্রচুর রিসোর্স আছে। সেখানকার ফাইলস সেকশনটা এক্সপ্লোর করা ভালো। এছাড়া ইউটিউবে Notefull টোফেল চ্যানেলটা খুবই ভালো। এর লোকটা যা বলে তা চোখ বন্ধ করে অনুসরণ করার মতো। ইটিএস অফিশিয়ালি কিছু টিপস ভিডিও ইউটিউবে দিয়ে রেখেছে Inside Toefl নামে TOEFLtv চ্যানেলে। আর আমার কাছে কিছু রিসোর্স আছে এক ভাইয়ের কম্পাইল করা। কেউ চাইলে মেইল করে দিতে পারি। BBC Learning English লিঙ্কটাও খুবই ভালো। এছাড়া টরেন্ট সাইট গুলোতে TOEFL লিখে সার্চ দিলে অনেক লিঙ্ক পাওয়া যায়। যেমনঃ http://katproxy.com/usearch/toefl/ .

স্পীকিং এর ক্ষেত্রে পার্টনার পাওয়া না পাওয়ার উপর নির্ভর না করে যদি নিজে প্র্যাকটিস করতে চান সেটাও সম্ভব। প্রথমে যেকোনো প্যাসেজ উচ্চারণ করে পড়া এবং সেটা রেকর্ড করে শোনা দিয়ে শুরু করতে পারেন। এতে নিজের উচ্চারণ কেমন হচ্ছে সে সম্পর্কে ধারণা পাবেন। যদিও প্রথম প্রথম নিজের ইংরেজী নিজে শুনতে একটু অদ্ভুতই লাগে। যাই হোক, এরপর যেকোনো র‍্যান্ডম টপিক নিয়েও ৪/৫ মিনিট টানা কথা বলে বলে রেকর্ড করে শোনা যায়। আয়নার সামনে নিজের সাথে কথা বলাও ভালো। আর আমরা বেশীরভাগ সময়ই ইংলিশে কথা বলার সময় মনে মনে আগে বাংলা বলি, পরে সেটাকে ইংলিশে ট্রান্সলেট করে বলি। এটার চেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে, ইংলিশেই চিন্তা করার চেষ্টা করা। অদ্ভুত শোনালেও এটা সম্ভব। রাস্তা দিয়ে হাটার সময় অনেক কিছুই আমরা চিন্তা করি, চেষ্টা করতে হবে যাতে সেগুলো ইংলিশে হয়। এতে ফ্লুয়েন্সি বাড়ে। তারপরও স্পীকিং এ ভালো পার্টনার পাওয়া গেলে খুব ভাল প্রস্তুতি হয়।

মনে রাখতে হবে যে, পরীক্ষার সময় স্পীকিং এর সেকশনে এক্সাম সেন্টারে পুরো মাছের বাজার বসে যায়। সবাই চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে নিজ নিজ বক্তব্য পেশ করে। তখন কন্সেন্ট্রেশন ধরে রাখার প্র্যাক্টিস হিশেবে উচ্চশব্দে মুভি চালিয়ে দিয়ে স্পীকিং প্র্যাকটিস করা যায়। আসলে না চিল্লিয়ে উপায়ও নেই। যদি মাইক্রোফোন আপনার উত্তর রেকর্ড না করতে পারে অল্প শব্দের কারণে, বা ইটিএস ঠিকমত মূল্যায়ন করতে না পারে তাহলে আপনার স্কোরই আসবেনা।

টোফেল স্কোর ১০০+ রাখা জরুরী। এটি কোন ধরণের কাট-অফ থেকে বাঁচিয়ে রাখা ছাড়াও অ্যাসিস্টান্টশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আবার কোন সেকশন যাতে একেবারে খারাপ না হয়ে যায়। তাহলে পুরো স্কোরই মাঠে মারা যাবে।

আর টোফেল স্কোর ফ্রী পাঠানোর যে অপশন থাকে সেটা সম্ভবত পরীক্ষার আগেই পাঠাতে হয়। জিআরইতে পরীক্ষার পরে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন