রবিবার, ১০ মে, ২০১৫

পর্ব ৭ - অ্যাপ্লাই করা

আপনার কাছে যেসব ডকুমেন্ট রেডি থাকতে হবেঃ

১। অফিশিয়াল ডিগ্রী সার্টিফিকেট (রেজিস্ট্রার বিল্ডিং থেকে ইস্যু করা, সত্যায়িত রেজিস্ট্রার বিল্ডিং থেকেই)
২। অফিশিয়াল ট্রান্সক্রিপ্ট (রেজিস্ট্রার বিল্ডিং থেকে ইস্যু করা, সত্যায়িত রেজিস্ট্রার বিল্ডিং থেকেই)
৩। স্যারদের রেকমেন্ডেশন লেটার (অন্তত তিনটি)
৪। স্টেটমেন্ট অফ পারপাস (ভার্সিটি অনুযায়ী ভিন্ন হবে)
৫। জব করে থাকলে এক্সপেরিয়েন্স সার্টিফিকেট, NOC লেটার
৬। মার্কশীট
৭। অ্যাকাডেমিক CV
৮। পাসপোর্ট সাইজ ছবি
৯। ন্যাশনাল আইডি কার্ড
১০। পাসপোর্ট
১১। ভিসা-মাস্টার-অ্যামেক্স কার্ড
১২। অফিশিয়াল সীলড এনভেলাপ (রেজিস্ট্রার বিল্ডিং থেকে) 

এই সবগুলো(১১, ১২ বাদে) ডকুমেন্ট স্ক্যান করে পিডিএফ বানিয়ে সুন্দর করে গুগল ড্রাইভে রেখে দিন। এছাড়া ভার্সিটি স্পেসিফিক যদি কোন রিকোয়ারমেন্ট থাকে সেটাও খেয়াল রাখবেন। ডিগ্রী সার্টিফিকেট আর ট্রান্সক্রিপ্ট যতগুলো ভার্সিটিতে অ্যাপ্লাই করবেন তার চেয়ে দুয়েক কপি বেশী তুলুন। রেকমেন্ডেশন লেটার সবচেয়ে ভালো হয় আপনার থিসিস অ্যাডভাইজর এর কাছে থেকে নিলে, এছাড়া সিনিয়র প্রফেসর, ক্লাস টিচারদের কাছে থেকেও নিতে পারেন। যে বিষয়ে অ্যাপ্লাই করবেন, সেই বিষয়টির ক্লাস যে স্যার নিয়েছিলেন তাঁর কাছে থেকেও নিতে পারেন। আর সবাই যদি আপনার সম্পর্কে দুটো ভালো কথা বলতে বিব্রতবোধ করেন, তাহলে জব করে থাকলে আপনার সুপারভাইজর এর কাছে থেকেও নিতে পারেন। এর বাইরে অপরিচিত কারো কাছে থেকে নিতে পারেন, কিন্ত সেটা কতটা ইফেক্টিভ হবে আপনিই ভেবে নিন। তবে এখন পেপার রেকমেন্ডেশনের যুগ প্রায় চলে গেছে। এখন অ্যাপ্লাই করতে গেলে আপনার কাছে আপনার রেকমেন্ডার এর ইমেইল অ্যাড্রেস চাইবে। আপনি দেওয়ামাত্র তাঁর কাছে ইমেইল চলে যাবে আপনার সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন সহ। তিনি ইমেইল এর যে রিপ্লাই দেবেন সেটা আপনি দেখার অধিকার রাখেন যদি আপনি ওই ইউনিতে চান্স পান। তবে সেই অধিকার ছেড়ে দেওয়াই ভালো (এর অপশন দেওয়া থাকবে)। কারণ নইলে আপনার সম্পর্কে অ্যাডমিশন কমিটি ভাববে যে আপনি আপনার রেকমেন্ডারদের বিশ্বাস করেন না।

এরপর নামুন তথ্য সংগ্রহ অভিযানে। প্রতিটি ইউনির নিম্নোক্ত তথ্যাবলী যোগাড় করবেন।
১। প্রায়োরিটি ডেডলাইন
২।  অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডেটগুলো ( ডকুমেন্ট পাঠানোর শেষ তারিখ, জিআরই-টোফেল পাঠানোর শেষ তারিখ)
৩। ডকুমেন্ট পাঠানোর ঠিকানা
৪। জিআরই+টোফেল সেন্ড করার কোড
৫। কি কি ডকুমেন্ট চায় + অনলাইন নাকি পেপার কপি
৬। রেকমেন্ডেশন লেটার কীভাবে চায়, অনলাইনে নাকি পেপার কপি
৭। অ্যাপ্লিকেশন ফী
৮। কোন স্পেশাল ইন্সট্রাকশন আছে কিনা

গুগোল ড্রাইভে প্রত্যেকটা ইউনিভার্সিটির জন্য আলাদা ফোল্ডার বানিয়ে রাখতে পারেন। নইলে ম্যানেজ করা মুশকিল হয়ে যায়।

এরপর জিআরই-টোফেল স্কোর আগেই না পাঠিয়ে থাকলে পাঠিয়ে দিন, শুরু করে দিন অ্যাপ্লিকেশন। প্রত্যেকটাতেই শুদ্ধভাবে শেষ করতে সময় লাগবে, স্যাররা রেকমেন্ডেশন মেইল পেলেন কিনা খোঁজ নেবেন, রিপ্লাই দিয়েছেন কিনা আপনার অ্যাপ্লিকেশন পোর্টালে চেক করবেন। দেরী হলে স্যারদের আবার নক দিয়ে মনে করিয়ে দেবেন।

কিছু ভার্সিটি আগেই ফাইনান্সিয়াল ক্যাপাবিলিটির এভিডেন্স চায়, তাদের মেইল করে জিজ্ঞেস করবেন এটা অ্যাডমিশন পাওয়ার পরে সাবমিট করলে হবে কিনা। কারণ পরে আপনি অ্যাসিস্টান্টশিপ পেয়ে গেলে এটা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।

অ্যাপ্লিকেশন এর সমস্ত কাজকর্ম নভেম্বার বা ম্যাক্সিমাম ডিসেম্বের এর মধ্যে শেষ করে ফেলবেন। মাঝে মাঝেই অ্যাপ্লিকেশন পোর্টালগুলো চেক করবেন। পরের ৩ মাস ভাগ্যের খেলা দেখার জন্য টিকেট কেটে বসে যাবেন। শুভকামনা!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন