রবিবার, ১০ মে, ২০১৫

পর্ব ২ - প্রোফাইল এবং টাইমলাইন

প্রোফাইলঃ

বাইরে অ্যাপ্লাই করতে প্রোফাইল বলতে যা বোঝায়ঃ
১। সিজিপিএ
২। পাবলিকেশন
৩। ক্লাস র‍্যাঙ্ক
৪। জিআরই
৫। টোফেল
৬। স্টেটমেন্ট অফ পারপাস (SOP)
৭। রেকমেন্ডেশন
৮। কো আর এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ (প্রোজেক্ট, ওয়ার্কশপ, সেমিনার, কন্টেস্ট, ক্লাব, হবি, সোশ্যাল ওয়ার্কস ইত্যাদি)


এই সবগুলো পয়েন্টে ভালো করতে পারলে বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে যাওয়া সম্ভব। যেহেতু সবগুলোতেই ভালো করা প্রায় অমানুষদের কাজ, তাই কিছু জায়গায় দুর্বলতা থাকলেও সমস্যা নেই। অন্য কোন একটা দিয়ে পূরণ করে দেওয়া যায়। সিজিপিএ ৩.৭/৩.৮ হলে সবচেয়ে ভালো, কম (৩ এর সামান্য নীচে) হলেও সমস্যা নেই, ইউএসএ তে এই রেঞ্জেও ভার্সিটি আছে। ব্যাকলগ থাকা উচিৎ নয়। পাবলিকেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই ছাত্র অবস্থায় ভাল পেপার নামের সাথে থাকলে এইখানে অনেক এগিয়ে থাকা যায়। তবে পাবলিকেশন না থাকলে প্লাস পয়েন্ট না হলেও মাইনাস পয়েন্ট না। এরপর আসা যায় ক্লাস র‍্যাঙ্ক এর কথায়। যদিও আপনার ক্লাস র‍্যাঙ্ক কত এটা অ্যাপ্লিকেশন এর কোথাও জিজ্ঞেস করবে না, কিন্ত SOP তে যদি লেখেন যে আপনি ক্লাস এর ফার্স্ট/সেকেন্ড বা ভালো একটা পজিশনধারী, সেটা অবশ্যই আলাদা ভ্যালু পাবে। তবে বেশী খারাপ হলে লেখার দরকার নেই, সমস্যাও নেই।  জিআরই তে সায়েন্সএর লাইনে ম্যাথ এ ১৬৫+ থাকা খুবই ভালো, ১৬০ এর আশেপাশেও সমস্যা নেই, বেশী নীচে থাকলে সমস্যা। ভার্বালে ১৫০+ থাকলেই যথেষ্ট, ১৬০ এর আশেপাশে থাকলে বিশাল লাভ। আর অ্যানালিটিকাল রাইটিং এ মিনিমাম ৩.৫ থাকা বাঞ্ছনীয়। টোফেল এ সর্বমোট স্কোর ১০০+ রাখলেই যথেষ্ট, খুব বেশী কম যাতে না হয়। SOP অনেক খেটেখুটে লিখতে হয়। রেকমেন্ডেশন ভালো পাওয়ার জন্য স্যারদের কথা মতো চলা আবশ্যক। যদিও স্যাররা প্রয়োজনের চেয়েও বেশী সাহায্য করেন। আর অন্যান্য অ্যাক্টিভিটিজ যেগুলো রিসার্চ লাইনের সাথে যায় এবং ব্যক্তি হিশেবে আপনার মূল্য বাড়ায় সেগুলো কয়েকটি করা ভালো।

এখানে ধরে নিচ্ছি যে পাশ করার সাথে সাথে আপনি অ্যাপ্লাই করছেন। যদি জব করে থাকেন তাহলে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে নিজ ডিপার্টমেন্টের টিচার হতে পারলে, অথবা অন্য কোন জায়গায়। এছাড়া জব যত রিসার্চ লাইনের কাছাকাছি হয় তত ভালো।

টাইমলাইনঃ

জুন/জুলাই বা দেরী হলে আগস্টে এর মধ্যে জিআরই স্কোর আর আগস্ট/সেপ্টেম্বর বা দেরীতে অক্টোবর এর মধ্যে টোফেল স্কোর হাতে থাকা সবচেয়ে ভালো। তবে খুব বেশী দেরী হিশেবে নভেম্বর এর কিছুদিনে যাওয়া যায়, কিন্ত সেটা খুবই খারাপ। অনেকগুলো ডেডলাইন মিস হয়ে যাবে। এরপর নভেম্বর বা ডিসেম্বরে অ্যাপ্লিকেশন শেষ করতে হবে। খুব দেরী হলে জানুয়ারী। তারপর ২/৩ মাস রেজাল্টএর জন্য বসে থাকা। রেজাল্ট জানুয়ারী/ফেব্রুয়ারী/মার্চেই চলে আসে বেশীরভাগ, দেরী হলে এপ্রিল এও আসতে পারে। এর মধ্যে পছন্দের ভার্সিটি পেয়ে গেলে অ্যাক্সেপ্ট করে ফেলা, এপ্রিল/মে তে ভিসা নিয়ে নেয়া অতঃপর জুলাই/আগস্টে চলে যাওয়া। এই হচ্ছে মোটামুটি হিশেব।  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন